আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ফরিদপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে।
ফাহাদ ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর মহল্লার বাসিন্দা ওয়াজেদ ব্যাপারীর ছেলে। ওয়াজেদ আম্বিকাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। ফাহাদ বিভিন্ন সময়ে বরকত, রুবেল ও ফোয়াদের সহযোগী হিসেবে হামলা-ভাঙচুরসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন আলোচিত দুই ভাই বরকত ও রুবেল। তবে গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন ফোয়াদ। ফাহাদও আত্মগোপনে চলে যান। তিনি তখন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত বছর জুনের পর ফাহাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। ২০২০ সালের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের নামে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের যে মামলা হয়, তার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ফাহাদ।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফাহাদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত ছিলেন। তিনি ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৎকালীন সহসভাপতি (ভিপি) ও ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ছাড়া ওই পলিটেকনিকের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দোহাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেন। ফাহাদকে ফোয়াদের হাতুড়ি বাহিনীর সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মানি লন্ডারিং মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলার আসামি তিনি।
ফরিদপুর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার কর্মকার বলেন, ফাহাদকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় সংঘটিত ছোটন বিশ্বাস (২৭) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে আজ বিকেলে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।