নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন। রোববার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী চৌরাস্তা টঙ্গী এলাকাতে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব শিল্প কারখানা ঈদের আগে ধাপে ধাপে ছুটি হয়েছে। যার ফলে অনেক শিল্প কারখানা সোমবার খোলা হবে। ওই সব শিল্প কারখানার শ্রমিকরা সকাল থেকেই চন্দ্রা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজও গণপরিবহণেও যাত্রী চাপ দেখা যায়।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, আজও তাদের দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে আসতে হচ্ছে। যার ফলে পিকআপ, ট্রাক মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ।
গাইবান্ধা থেকে আসা তাসলিমা আক্তার বলেন, ঈদে ১০ দিনের ছুটি পেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। কুরবানির ঈদ, তাই ফ্যামিলির সবাই একসঙ্গে কুরবানির মাংস ভাগাভাগি করে খেয়েছি। ছুটি শেষ দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে ফিরে আসলাম।
বগুড়ার মোকামতলা থেকে আশার রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যানজট পেরিয়ে অনেক কষ্ট করে বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন ছুটি শেষ তাই আবারও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই কর্মস্থলে ফিরে আসলাম।
রংপুর থেকে আসা আমজাদ হোসেন জানান, বাড়ি যেতেও দিগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে। বাড়ি থেকে আসার সময় অনেক বেশি ভাড়া দিয়েই চন্দ্রা আসলাম। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই।
নাওজোর কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসছে। তাই মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যেন যাত্রীরা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন। হাইওয়ে পুলিশ চন্দ্রা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে।