সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে এক দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। বুধবার সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ফার্মগেট, চানখারপুল, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার মোড়, গুলিস্তান, সায়েন্সল্যাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
কর্মসূচি ঘোষণা করে আসিফ মাহমুদ বলেন, বৃহস্পতিবার কর্মসূচি হিসেবে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবে। সড়ক ও রেলপথগুলো এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে। আমরা নির্বাহী বিভাগকে বলতে চাই অতি দ্রুত আমাদের দাবিটি মেনে নেন, যাতে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি।
আসিফ আরও বলেন, ২০১৮ সালে যে পরিপত্র দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্ট সেটি বাতিল করেছে। আমরা এই আইনের প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের বারান্দায় যেতে চাই না। আমরা আমাদের রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। যতদিন না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা যে এক দফা দাবি জানিয়েছি সে ব্যাপারে সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসতে হবে। একটি কমিশন গঠন করে এই কোটা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংসদে আইন পাস করার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।