আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাশ্মিরে এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সহিংসতার মধ্যে এবার সংবাদপত্র প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একাধিক উর্দু ও ইংরেজি সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মির পুলিশ। স্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের দশটি জেলায় এখনও কারফিউ চলছে। আট দিনেও কাটেনি অচলাবস্থা। বুরহানের জন্মস্থান ত্রাল এখনও বিক্ষুব্ধ। প্রতিদিনই সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে জনগণ। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করছে স্থানীয় জনতা। এমন অবস্থায় দূর-দূরান্তের গ্রামেও কারফিউ জারি রয়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও।
শনিবারও পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্যাবল টিভি সেবা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত সংবাদপত্র প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে। কবে নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় গ্রেটার কাশ্মির পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন চালু থাকলেও প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তারা পত্রিকার ৫০ হাজার কপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাইজিং কাশ্মীরের সম্পাদক শুজাত বুখারি জানান, কাশ্মীরের সংবাদপত্রের জন্য এটা একটা জরুরি অবস্থা। এই প্রথম দেশের সরকার এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই প্রথম আমরা সংবাদপত্র প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা জানি না কখন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।