আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কিন্তু বেশ কিছু রহস্যময় তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণের ঘটনা স্যাটেলাইটগুলো চিহ্নিত করে ১৯৬৭ সালে। কিন্তু এই বিস্ফোরণগুলোর চরিত্র বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় যে, পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের ফলে এই রশ্মির সৃষ্টি হয়নি। এগুলো এসেছে দূরের কোনো মহাকাশ থেকে কিংবা অন্য কোনো সৌরজগৎ থেকে।
সৌরজাগতিক এই সব কৌতূলোদ্দীপক ঘটনাগুলো গোপন রাখা হয় ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। কেউ জানত না ওই বিস্ফোরণগুলো কিসের। দশকের পর দশক ধরে ওই গামা রশ্মি বিস্মিত করে রেখেছে বিজ্ঞানীদের।
স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর নানা ধরনের মহাকাশ যান পাঠানো হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের টেলিস্কোপও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে এই বিস্ফোরণগুলো সম্পর্কে আরো ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
এই গামা রশ্মি এসেছে সৌরজগতের সবচেয়ে চমকপ্রদ বস্তু থেকে; যেমন ব্ল্যাক হোল এবং নিউট্রন স্টার। তারা এতই উজ্জ্বল যে, তার উজ্জ্বলতা ধরে রাখে মহাকাশের বিশাল একটি এলাকাজুড়ে। এতে প্রথম তারার উৎপত্তি জানার একটি আলামত পাওয়া যায়।
এ ছাড়া গামা রশ্মির বিস্ফোরণ থেকে জানা যায়, আগে যেমনটা ধারণা করা হতো আমাদের এই সৌরজগৎ তার চেয়ে বেশি গতিশীল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব একটি বিস্ফোরক এবং নিয়ত পরিবর্তনশীল স্থান।
গামা রশ্মি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিস্ট এন্ড্রু ম্যাকফাডিন বলছেন, সৌরজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বা বৃহত্তম বিস্ফোরণের ফলে গামা রশ্মির সৃষ্টি এবং এগুলোই মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম রশ্মি।
এখন এই বিষয়টি পরিষ্কার যে, গামা রের বিস্ফোরণ বা বিচ্ছুরণ যে নতুন ধরনের জ্যোতির্বিদ্যার আবির্ভাব ঘটাতে যাচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।