আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য হোয়াইট হাউসের দরজা বন্ধ করতে ক্লিভল্যান্ডের রাস্তায় নগ্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে শতাধিক নারী।
রিপাবলিকান দলের প্রাথমিক মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকায় রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার ট্রাম্পের নাম ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। কনভেনশন শুরুর দিনেই নারীদের নগ্ন হয়ে রাস্তার নামার ডাক দিয়েছিলেন চিত্রশিল্পী স্পেনসার টিউনিক। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প একজন পরাজিত মানুষ’।
টিউনিকের ডাকে সাড়া দিয়ে হাতে আয়না নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ১৩০ জন নারী। প্রতিবাদের এ ছবিই নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রকাশ করবেন টিউনিক। তার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিবাদীদের হাতের আয়নায় প্রতিফলিত হবে প্রগতিশীল নারীদের জ্ঞান এবং মায়ের চরিত্রের ধারণা।
নগ্ন ছবির জন্য বিখ্যাত স্পেনসার টিউনিক বলছেন, এবার তার মনে হয়েছে, এই ইস্যুতে কিছু একটা করা দরকার। এটাই তার সবচেয়ে রাজনৈতিক ফটোশ্যুট বলে দাবি করেছেন তিনি। টিউনিক বলেন, নভেম্বরে শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়।
ট্রাম্পের সারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষের তীব্র নিন্দা জানিয়ে টিউনিক বলেন, আমার স্ত্রী ও দুই মেয়ে আছে। নারী ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ব্যবহৃত ভাষা ও ঘৃণা রিপাবলিকান পার্টির নয় বলেই আমার বিশ্বাস।
এই চিত্রশিল্পী আরো বলেন, প্রয়োজন হলে খোলা আকাশের নীচে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ভয়ডরহীন হতে হবে আমাদের। প্রিলিমিনারিতে ডেমোক্র্যাটিক বার্নি স্যান্ডার্সকে ভোট দিয়েছেন তিনি। বার্নির হারের পর তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকেই সমর্থন করবেন।
এর আগে, নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রাচীর নির্মাণ ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে একাধিক বার বিষোদ্গার করেছেন তিনি। আমেরিকায় মুসলিমদের নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছেন তিনি।