আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
২০০৮ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ওবামা পত্নী মিশেল যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে অংশত মিল রয়েছে মেলানিয়ার বক্তব্যের।
৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সোমবার ওহাইও রাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনে দলের সম্ভাব্য একমাত্র প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া প্রথম দিনে বক্তব্য দেন। তার এ বক্তব্যের একটি অংশ ২০০৮ সালে দেওয়া মিশেল ওবামার বক্তব্যের নকল বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা।
মেলানিয়া ট্রাম্প তার বক্তব্যে ট্রাম্পকে ‘করুনাময়’ ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘ট্রাম্প দেশের জন্য লড়বে।’
নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে এটি মেলানিয়ার প্রথম বক্তব্য। এ জন্য তিনি বক্তব্যলেখকদের সাহায্যও নিয়েছেন।
ট্রাম্পের যোগাযোগ উপদেষ্টা জেসন মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ সুন্দর বক্তব্য লেখার সময় মেলানিয়ার লেখক টিম তার জীবনের আশাব্যঞ্জক ঘটনাগুলো যুক্ত করেছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত চিন্তার প্রতিফলন হয়েছে।
অভিবাসন অভিজ্ঞতা এবং আমেরিকার প্রতি ভালোবাসার বর্ণনা মেলানিয়ার বক্তব্যকে সফল করে তুলেছে। যদিও মেলানিয়া নিজেই তার বক্তব্যকে ‘অবিশ্বাস্য সুন্দর’ বলে দাবি করেছেন।
সোমবার মেলানিয়ার দেওয়া বক্তব্যের একাংশ : আমার বাবা-মা যেসব মূল্যবোধে আমাকে উদ্বুদ্ধ করতেন, তা হলো- জীবনে যা চাও, তার জন্য কঠোর প্ররিশ্রম কর, কথা দিয়ে কথা রাখ, তুমি তাই কর, যা তুমি বল এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা কর, মানুষকে শ্রদ্ধার চোখে দেখ।’
২০০৮ সালে মিশেলের দেওয়া বক্তব্যের একাংশ : বারাক ও আমি অনেক বিষয়ে সমান মূল্যবোধ লালন করি, সেগুলো হলো- জীবনে যা চাও, তার জন্য কঠোর প্ররিশ্রম কর, কথা দিয়ে কথা রাখ, তুমি তাই বল, যা তুমি করতে যাচ্ছ, মানুষকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার চোখে দেখ- যদিওবা তুমি তাদের না চেন এবং তাদের সঙ্গে একমত না হও।’
বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় মেলানিয়া বলেন : (বাবা-মা) দৈনন্দিন জীবনে আমাকে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা শিখিয়েছেন। যে শিক্ষা আমি আমাদের ছেলেকে দিচ্ছি। এবং এ শিক্ষা আমাদের পরের প্রজন্মগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যেন তারা তা অনুসরণ করে। কারণ আমরা চাই আমাদের সন্তানরা জানুক, লক্ষ্য অর্জনের পথে তাদের একমাত্র বাধা তাদের স্বপ্নের দুর্বলতা এবং স্বপ্ন পূরণে যথার্থ কাজ না করা।
২০০৮ সালে মিশেল বলেছিলেন : বারাক ও আমি এসব মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করি এবং তা পরের প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছি। কারণ আমরা চাই, আমাদের সন্তানরা এবং এ জাতির সব সন্তান জানুক, লক্ষ্য অর্জনে পথে তাদের একমাত্র বাধা- সঠিক স্বপ্নে পৌঁছাতে না পারা এবং তা অর্জনে কাজ না করা।
স্লোভেনিয়ান বংশোদ্ভূত সাবেক মডেল মেলানিয়া বক্তব্যে তার স্বামী ট্রাম্পকে কঠোর কিন্তু সহানুভূতিপ্রবণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মেলানিয়া বলেন, ‘যখন দরকার তখন তিনি কঠোর কিন্তু তিনি দয়ালু, স্বচ্ছ এবং যত্নবান।’