Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট ফিরোজা পাথরের খনি ইরানের নিশাবুরে

বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট ফিরোজা পাথরের খনি ইরানের নিশাবুরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ফিরোজা পাথর বেশ মূল্যবান একটি পাথর। বলা হয়ে থাকে, খ্রিস্ট জন্মের ৩৪০০ বছর আগে মিশরের ফেরাউন সীনা মরু প্রান্তরের খনি থেকে ফিরোজা পাথর উত্তোলন করেন এবং সাজসজ্জার অলঙ্কার হিসেবে এসব পাথর ব্যবহার করেন।

ইরানে সাসানীয় যুগে ফিরোজা পাথর উত্তোলন এবং তা অলঙ্কারে ব্যবহার করার উপযোগী করার প্রচলন গড়ে ওঠে। তখন আংটিতে এবং বাদশাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন তৈজস অলঙ্করণের কাজেই এই পাথর ব্যবহার করা হতো।

খনি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট ফিরোজা পাথর হলো- ইরানের নিশাবুরী ফিরোজা পাথর। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিশাবুরের ফিরোজা পাথর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফিরোজা পাথর হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পাথর এতো বেশী রপ্তানি হয়েছে এবং হচ্ছে যে, নিশাবুর আর ফিরোজা যেন সমার্থক হয়ে পড়েছে।

 

ফিরোজা পাথর অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাওয়া যায়। নিউ মেক্সিকো, নেভাদা, কলোরাডো, তিব্বত, চিলি এবং সীনা উপদ্বীপ প্রভৃতি জায়গায় ফিরোজা পাথর পাওয়া যায়। গুণগত দিক থেকে এগুলোর গুরুত্ব নিশ্চয়ই রয়েছে। তবে নিশাবুরের ফিরোজা পাথরের খনিটি নিশাবুর থেকে ৫৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত অঞ্চলটি তুলনামূলকভাবে উঁচু। ফিরোজা পাথরের খনিটিতে খনন করতে করতে যে বিশাল গুহার সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখলে সহজেই বোঝা যায় যে, বহুকাল আগে থেকেই এ খনি থেকে পাথর উত্তোলনের কাজ চলে আসছে।

 

ইরানের নিশাবুরে প্রাপ্ত ফিরোজা পাথরের চমৎকার রং, এর শ্রেষ্ঠত্ব এবং এর খনির প্রাচীনত্বের কারণে এই পণ্যটি কোনো রকম প্রচার বা বিজ্ঞাপন ছাড়াই বিশ্বের বাজারগুলোতে সমাদৃতি পেয়েছে।

 

প্রাচীনকালে নিশাবুরের ফিরোজা পাথরের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ বাজার ছিল ভারত এবং চীন। ইউরোপীয় দেশগুলোও ইরানি ফিরোজা পাথরের প্রাচীন ক্রেতা ছিল। তুরস্ক হয়ে ইরানি ফিরোজা পাথর ইউরোপের বাজারে যেত।#

 

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

July 2016
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
Scroll To Top