নিজস্ব প্রতিবেদক :
কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাই স্কুলের পাশের জাহাজ বিল্ডিং নামে পরিচিত ভবন রাতভর ঘিরে রেখে ভোরে অভিযান চালায় পুলিশ, র্যাব ও সোয়াত টিম।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ জানান, মধ্যরাতে পুলিশের একটি টহল দলের ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ওই ভবন থেকে তারাও পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে হাসান নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রথম দফায় রাত দেড়টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময় চলে। খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াত), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল অভিযানে অংশ নেয়। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরেক দফা গুলিবিনিময় চলে। সর্বশেষ ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে অভিযান শুরু হয়ে ৬টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত চলে। এক ঘণ্টার ‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’ নামের এই অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান জানান, রাতে এ অভিযানের সময় পুলিশের ওপরও গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। ভবনটি ঘেরাও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন অভিযান চালায়, জঙ্গিরা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে তাদের দিকেও গুলি ছোড়ে। গোলাগুলিতে ৯ জঙ্গি নিহত হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, কল্যাণপুরে নিহতরা জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ছিল। গুলশানের হামলাকারীদের সঙ্গে কল্যাণপুরে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মিল রয়েছে। গুলশানের মতো বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।