আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কোটিপতি ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ১২৩৭ জন প্রতিনিধির সম্মতি দরকার ছিল। মঙ্গলবার রিপাবলিকানদের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সেটি অর্জনের পর ট্রাম্পের নাম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের তালিকায় প্রথম স্থানে আসে। নিজ অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে বিপুলসংখ্যক প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প।
মনোনয়ন পাওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘এটি এমন একটি মুহূর্ত, যা আমি কখনোই ভুলব না। রিপাবলিকান পার্টির ইতিহাসে আমরা সবাই মিলে বিপুলসংখ্যক ভোটের পাশাপাশি ঐতিহাসিক ফল অর্জন করেছি। এটি একটি অভ্যুত্থান, তবে আমাদের পুরো পথ পাড়ি দিতে হবে।’
ট্রাম্পকে প্রতিহত করার জন্য তার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধীরা মঙ্গলবার শেষ চেষ্টা চালান। তারা রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে, তারা ট্রাম্পকে ভোট দিতে বাধ্য নন এবং নিজের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তারা ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অনেক আমেরিকানই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ট্রাম্পের উত্থান মেনে নিতে পারছেন না। তারা বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্যের ভর্ৎসনা করেন। ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে মেক্সিকোর অভিবাসীদের ‘ধর্ষক’ বলে উল্লেখ করা। ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মেক্সিকান অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবেন। এ ছাড়া তিনি মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছিলেন।