আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
১৫ জুলাই আটক শত শত তুর্কি সেনার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানতে তাদের স্বজনেরা ইস্তাম্বুলের সিলিভ্রি কারাগারের বাইরে ক্যাম্প করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। সোমবার প্রথম দলটি পৌঁছার পর থেকে সেনা পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
জানা গেছে- অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত ১৬শ তরুণ সেনাকে ওই বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সূত্র ধরে তুর্কি কর্মকর্তারা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। দেশটিতে তিন মাসের জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
আমেরিকায় বসবাসরত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফতেউল্লাহ গুলেনের সঙ্গে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ৯ হাজার সেনা ও আরো হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে। আঙ্কারা সরকার গুলেনের বিরুদ্ধে এই কলঙ্কজনক অভ্যুত্থান পরিচালনার অভিযোগ তোলে এবং গুলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে, সিলিভ্রি কারাগারে আটক ২৩ বছর বয়সী এক সেনার মা নেভিন ইলহান বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। সে শুধুমাত্র এমন একজন ব্যক্তি যার কাজ আদেশ পালন করা। তাদেরকে যা করতে বলা হয় তারা তাই করতে বাধ্য। আর তাদেরকে রাজনীতিবিদরা যা করার আদেশ দিয়েছেন তাই পালন করার মূল্য দিচ্ছে এখন।” নেভিন ইলহান জানান, তার ছেলের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ হতে আর মাত্র পাঁচদিন বাকি ছিল।
নেভিন ইলহান আরো বলেন, “আটক সেনারা নানারকম অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য খবর প্রকাশের পর আমার উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। মা হিসেবে আমি কেবল শুনতে চাই যে, আমার ছেলে নিরাপদেই রয়েছে, আমার ছেলের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার না করা হয়।”
১৫ জুলাই আটক ২০ বছর বয়সী ভাগ্নে হায়রেত্তিন আতাসের বিষয়ে জানতে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় একটি শহর থেকে ইস্তাম্বুলে এসে সিলিভ্রির বাইরে ক্যাম্প করেছেন আহমেত আতাস। তিনি জানান, হায়রেত্তিন যদি গ্রেপ্তার না হতো তবে ২৬ জুলাই তার সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ হতো। আতাস বলেন, “আমরা তার কোন খবর জানি না। কেবল জানি, সে এখানে রয়েছে। আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। কিছু কেনার সামর্থ্যও নেই। কিন্তু ভাগ্নেকে না দেখে আমি ঘরে ফিরে যাব না।”