আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভারে তদন্ত করছে এফবিআই। এ তদন্তে ৩০ হাজার ইমেইল ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ আখ্যা দিয়ে এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেননি হিলারি।
ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া, তুমি কি শুনছ? আমি আশা করি, যে ৩০ হাজার ইমেইল পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলো তোমরা খুঁজে পাবে। আমি মনে করি, এ কাজ করতে পারলে আমাদের গণমাধ্যম তোমাদের ব্যাপক পুরস্কৃত করবে।’
তিনি বলেন, ওই ইমেইলগুলো কিছু ‘সৌন্দর্য’ বহন করে। পরে ট্রাম্প টুইট করে বলেন, কারো কাছে যদি ওই ইমেইল থাকে, তারা যেন সেগুলো এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
রাশিয়া ট্রাম্পের জন্য ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) ইমেইল হ্যাক করছে, এমন অভিযোগ উঠার পর দেশটির কাছে এ আবেদন জানালেন ট্রাম্প।
তবে ডিএনসির ইমেইল হ্যাকিংয়ের কথা ট্রাম্প ও রাশিয়া উভয়ই অস্বীকার করেছে।
এদিকে ট্রাম্পের এ আহ্বানের পর হিলারির জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারক জেক সালিভান বলেছেন, ‘এই প্রথমবারের মতো কোনো প্রধান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর জন্য বিদেশি কোনো শক্তিকে উৎসাহিত করলো। এটি কৌতূহল কিংবা রাজনৈতিক ব্যাপার ছাড়িয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।’
ট্রাম্পের মন্তব্যের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মাইক পেন্স বলেছেন, ‘এফবিআই যদি প্রমাণ করতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্রর নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে, তবে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।’