আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে দুই মুসলিম নারীকে বেদম প্রহারের অভিযোগে চার উগ্র হিন্দুত্ববাদীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার কথিত গরুর গোশত বহনের অভিযোগে ওই দুই মুসলিম নারীকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে উগ্র ব্যক্তিরা।
পুলিশ হামলাকারী চারজনের পাশাপাশি প্রহারের শিকার দুই মুসলিম নারীকেও আটক করেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে পাওয়া গোশত মহিষের বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আটক ছয়জনের সবাইকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে। ওই দুই নারীকে প্রহারের ভিডিও বুধবার ভারত জুড়ে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং বলেছেন, দুই নারীকে প্রহারকারী ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়া হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না।
ভারতের অনেক হিন্দু গরুকে পবিত্র বলে মনে করেন এবং মধ্যপ্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ। উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো গরু রক্ষায় অধিকতর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভারতের বিজেপি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে গরুর গোশত বহন বা খাওয়ার অভিযোগে বেশ কিছু মানুষ হামলার শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, সম্প্রতি গুজরাট রাজ্যের উনা শহরে একটি মৃত গরুর চামড়া ছাড়ানোর অভিযোগে চার দলিত ট্যানারি কর্মির গায়ের কাপড় খুলে নিয়ে বেদম প্রহার করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে নিম্নবর্ণের দলিত জনগোষ্ঠী।