নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর হাজারীবাগ এবং ধানমন্ডি থেকে ১৪ কর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ যখন চিন্তিত তখন জাতীয় এই সমস্যা নিয়ে নোংড়া রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছে সরকার ও পুলিশ। গত রাতে কোন কারণ ছাড়াই রাজধানীর হাজারীবাগ ও ধানমন্ডি থেকে নিরপরাধ ১৪ জন শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই গ্রেপ্তারের পক্ষে পুলিশ বই ও লিফলেট পাওয়া ছাড়া আর কোন যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি। মূলত জঙ্গি দমনের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতনের অপকৌশল গ্রহণ করেছে সরকার। ইতিমধ্যেই এই অভিযান নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বিভিন্ন মেস ও বাসা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরব চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে রাজধানীর বিভিন্ন মেস ও ব্যাচলর বাসায় অবস্থানরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একই ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও এমন অভিযোগ আসছে যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল ও জাতিকে বিভ্রান্ত করতে একের পর এক নিরপরাধ ছাত্রের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে সরকার। জঙ্গিবাদের মত জাতীয় সমস্যা নিয়ে সরকার ও পুলিশের এই নির্মম তামাশায় জাতি হতাশ ও ক্ষুদ্ধ।
তারা বলেন, সরকার ও পুলিশের এই অমানবিক তামাশার পরিণাম শুভ হবে না। জঙ্গিবাদকে বিরোধী মত দমনের হাতিয়ার বানানোর অর্থ হলো সরাসরি জঙ্গিবাদের মদদ দেয়া। ফলে জাতি আরো অনিরাপদ হয়ে পড়বে। কোন কারণ ছাড়াই সাধারণ ছাত্রদের জীবন হুমকির মুখে ফেলা নূন্যতম দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়ে না। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জঙ্গি দমনের নামে মেস ও বাসা-বাড়িতে সাধারণ ছাত্রদেরকে হয়রানি না করার আহবান জানাচ্ছি।
সূত্র : শীর্ষ নিউজ