নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেরপুরে এক হতদরিদ্র পরিবারের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে মো. হানিফ মিয়া (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হানিফ শেরপুর জেলা শহরের দীঘারপাড় এলাকার কান্দু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালকের সহকারী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস ধরে শেরপুর শহরের দীঘারপাড় এলাকার হানিফ মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী এক দরিদ্র চাতালশ্রমিকের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করে আসছিলেন। গত ২৪ জুলাই বিকেলে হানিফ ওই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে দীঘারপাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি ওই নারীর মা দেখে ফেললে হানিফ ওই নারী ও তাঁর মাকে মারপিট করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে হানিফকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হানিফকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় শেরপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মোমিনুল ইসলামের আদালতে তিনি (নারী) জবানবন্দি দেন।
শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে হানিফ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জমিজমা নিয়ে ওই নারীর ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর (হানিফ) বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা আছে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সেগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। তাই এবার ষড়যন্ত্র করে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।