ক্রীড়া প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে শুরু হয়ে তিনঘন্টা ব্যাপী চলা রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে তেমন কিছুই লক্ষ্য করা গেল। বেইজিং ও লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে যা খরচ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশ কমই খরচ করা হয়েছে রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে। তারপরও মন্দ হয়নি। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে পর্দা উঠেছে আধুনিক অলিম্পিকের ৩১তম আসরের।
এটা দক্ষিণ আমেররিকা মহাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত অলিম্পিক গেমস। সে কারণে নানা সমস্যা আর অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও একে আকষর্ণীয় করে তুলতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি। রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে মারাকানা স্টেডিয়ামে ৬৫ হাজার দর্শক উপস্থিত হন। আর টেলিভিশন সেটের সামনে বসেন ৩ বিলিয়ন দর্শক।
আতশবাজির ঝলকানিতে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লের দৃশ্য
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী অলিম্পিক শপথের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এক হাজারেরও বেশি অ্যাথলেটের মার্চপাস্ট করেন। ব্রাজিলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। একঅর্থে গোটা ব্রাজিলকে তুলে ধরা হয় অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে দেখানো হয় এই গ্রহের সর্ববৃহৎ সবুজ প্রকৃতি পরিবেষ্টিত ব্রাজিলকে। মঞ্চে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী বৈচিত্রপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আলাদা গুরুত্ব পায়। মঞ্চ আলোকিত করেন ব্রাজিলের সুন্দরী সুপার মডেলরা।
মনোমুগ্ধকর লেজার শো ও ডিসপ্লের দৃশ্য
ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবী ৬৫ হাজার দর্শকের সামনে নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে নৃত্য-গীত এবং থ্রিডি প্রোজেকশনের মাধ্যমে এই গ্রহকে সবার বাসযোগ্য করে তোলার জন্য শান্তির পথে পা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে অরণ্যাচারী ব্রাজিলীয়রা কিভাবে বন-বাঁদাড়ের জীবন থেকে অট্টালিকার শহরের বাসিন্দা হল, সেই রূপান্তরের চিত্রও তুলে ধরা হয়।
পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয় রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গেমসের মশাল কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের হাতে শোভা পাওয়া কথা থাকলেও অসুস্থ্যতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।
তবে রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দিনশেষে মানবতার জয়ই উপজীব্য হয়ে উঠেছে।