বিবিসি জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে ব্লেয়ার বলেন, “আমাদের মধ্যে যারা সাদ্দামকে উৎখাত করেছিল আজকের ইরাক পরিস্থিতির জন্য তাদের কিছু না কিছু দায় আছে।” তবে একইসঙ্গে ইরাকে আগ্রাসনের পক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, সাদ্দামের পতন ঘটানোর জন্য ক্ষমা চাওয়া কঠিন। তাছাড়া, ওই আগ্রাসন চালানো না হলে ইরাক আজ সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হতে পারত।
সাক্ষাৎকারে ব্লেয়ার ইরাকের তৎকালীন শাসক সাদ্দাম হোসেনের পতনের জন্য ক্ষমা না চাইলেও দেশটিতে আগ্রাসনের কয়েকটি বিষয় নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। ব্লেয়ার বলেন, সাদ্দামের পতন নিয়ে তিনি দুঃখিত নন, তবে ইরাক আগ্রাসনের সময় পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভুল এবং পরিকল্পনার ত্রুটির জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
ইরাক যুদ্ধই সেদেশে এবং সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর উত্থানের ‘প্রধান কারণ’ ছিল কি-না এ প্রসঙ্গে ব্লেয়ার বলেন, “এর মধ্যে সত্যের উপাদান তো আছেই।” তিনি আরও বলেন, “আমরা যারা ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলাম, আপনি বলতে পারেন না, ২০১৫ সালের পরিস্থিতির জন্য তাদের কোনো দায় নেই।”
কিন্তু একইসঙ্গে তিনি বলেন, “২০১১ সালে আরব দেশগুলোতে শুরু হওয়া আন্দোলন আজকের ইরাক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলেছে এ বিষয়টিও উপলব্ধি করা জরুরি।” নিজের দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা করে ব্লেয়ার বলেন, “যুদ্ধের পর ইরাকে কোয়ালিশন বাহিনী একটি ব্যাপক-ভিত্তিক সরকার গড়ে তুলতে সহায়ক হয়েছিল।” “কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে ইরাকে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল অবস্থা আবারও ক্ষুন্ন হয় তৎকালীন ইরাক সরকারের গোষ্ঠীভিত্তিক নীতি এবং আরব বসন্তের প্রভাবের কারণে।”
ব্লেয়ার বলেন, আইএস ওই সময় ইরাক থেকে সিরিয়ায় চলে যায় এবং সেখানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর তারা আবার ইরাকে ফিরে আসে। “তারা যত বেশি সম্ভব নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করার চেষ্টা করছে এবং দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করছে