নিজস্ব প্রতিবেদক : গেল ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় চালানো সন্ত্রাসী হামলার পেছনে কলকাঠি কারা নেড়েছেন তা ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে। রিমান্ডে থাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকেই এখন এই হামলার মূল কুশীলব মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
গুলশানে হামলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসনাতের করিমের মোবাইলে একটি অ্যাপ ডাউনলোডের তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এমনকি পুরো অপারেশন যেন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলা পরিচালনা ও মনিটরিং করেন। হামলার আপডেট ও বিভিন্ন ছবি আদান প্রদান করেন দেশ ও দেশের বাইরে।
এর আগে জানা গিয়েছেল, হামলাকারীদের সহায়তা করার কথা গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন হাসনাত করিম। তবে তখন তিরিন বলছিলেস, তাকে বাধ্য করা হয় হামলায় সহযোগিতা করতে।
তদন্তকারীদের কাছে এখনো যে তথ্য রয়েছে তাতে তারা মনে করছেন, কানাডা প্রবাসী ছাত্র তাহমিদ খান পুরো ঘটনার সহযোগিতা করেছেন হাসনাত করিমকে। হত্যাকাণ্ডে অংশও নেন তিনি।
১ জুলাই হামলার পরদিন সেনাবাহিনীর কম্যান্ডো অভিযানে জিম্মি দশার অবসান হওয়ার পরই জীবিত উদ্ধারদের সঙ্গে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয় হাসনাত ও তাহমিদকেও। তবে পরে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়ার কথা বললেও এ দুজনের পরিবার ভিন্ন কথা বলে। এরপর ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশান এলাকা থেকে হাসনাত করিমকে এবং রাত পৌনে ৯টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাহমিদকে গ্রেফতারের কথা বলে পুলিশ।
পরদিন তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এদিকে ২ আগস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক জানান, গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় হামলার মূল পরিকল্পনায় দু’জন ছিলেন। তারা হলেন- আইএসের কথিত বাংলাদেশ সমন্বয়ক তামিম চৌধুরী ও সাবেক সেনা সদস্য সৈয়দ মো. জিয়াউল হক।
তবে গুলশানের ঘটনায় হাসনাত করিমের ভূমিকা নিয়েই প্রথম থেকেই রহস্য ছিল। হামলার পরদিন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূলত তাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।