আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের রাজস্থান অঙ্গরাজ্যের জয়পুরের একটি গো-আশ্রয়কেন্দ্রে গত দুই সপ্তাহে ৫ শতাধিক গরুর প্রাণহানি ঘটেছে। গরু বেঁধে রাখার স্থান কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হওয়ায় এসব প্রাণীকূলের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মজুরি পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা আশ্রয়কেন্দ্রের দেখাশোনার দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ায় কাদায় ডুবে ও খাদ্যাভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়পুরের হিনগোনিয়া গো-আশ্রয়কেন্দ্রের চুক্তিভিত্তিক আড়াইশর বেশি শ্রমিক মজুরি না পাওয়ায় গত মাসে ধর্মঘটের ডাক দেন। তখন থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার ও খাবার সরবরাহ না করায় ভারি বৃষ্টির কারণে গোবর ও কাদায় ডুবে পাঁচ শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে।
ঠিক কতসংখ্যক গরুর প্রাণহানি ঘটেছে সে বিষয়ে সরকারি কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ওই আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার করছেন এমন স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, গত দুদিনে তারা অন্তত ৯০টি মরদেহ সরিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো অনেক মরদেহ পড়ে রয়েছে।
জয়পুরের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮ হাজার গরুর আশ্রয় হয়েছিল। রোগে নয়; আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশ গরুর মৃত হয়েছে অনাহারে বলে নিশ্চিত করেছেন সরকারি পশুচিকিৎসক দেবেন্দ্র কুমার যাদব।
গো-আশ্রয়কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ভগবত সিং দেওয়াল বলেন, এ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ, গত মে মাস থেকে আশ্রয়কেন্দ্রের মজুরি পরিশোধ করা হয়নি। তিনি বলেন, কোনো শ্রমিক ছাড়াই আপনি আমার কাছে কীভাবে সমস্যা সমাধানের প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, জয়পুরের এ গো-আশ্রয়কেন্দ্রের বাৎসরিক সরকারি বাজেট ২০ কোটি রুপি।