আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া, মানব দেহে নানা পরিবর্তন ঘটিয়ে অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী সেনা তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। রুশ স্পুতনিক নিউজ এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন শীর্ষ স্থানীয় সেনা কর্মকর্তারা দাবি করছেন, অতি মানবীয় ক্ষমতার অধিকারী সেনা বা ‘বায়োনিক সুপারহিউম্যান সোলজার’ তৈরির লক্ষ্যে মানব দেহের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করছে মস্কো। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানব দেহে শক্তিশালী বাড়তি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং মস্তিষ্কে ইমপ্ল্যান্ট বা চিপস বসানোর জোরালো গবেষণা করছে রাশিয়া।
মার্কিন দাবি অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রের ধকল সহজে সহ্য করার উপযোগী করে তুলতে উদ্দীপক ওষুধ এবং স্টেরয়েড ব্যবহার নিয়ে মস্কোয় পরীক্ষা চলছে। এ জাতীয় প্রযুক্তিতে সফল হলে যুদ্ধের ধকল হাসিমুখে সহ্য করে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে পারবে একজন সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে অকল্পনীয় সময় ধরে টিকে থাকবে এমন সেনা। অন্যদিকে সেনাকে নির্দেশ পালনে দ্বিধাহীন ভাবে বাধ্য করতে তার মস্তিষ্কে চিপস বসিয়ে দেয়ার পদ্ধতি নিয়েও কাজ চলছে।
এ ছাড়া, চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই সেনা-দেহ যেন ক্ষত নিজেই সারিয়ে তুলতে পারে সে জন্য প্রয়োগ করা হচ্ছে আণুবীক্ষণিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেনা-দেহে বসিয়ে দেয়া হবে কাঙ্ক্ষিত চিপসসহ অতিক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি। সেনা-দেহকে অমানবীয় শক্তিশালী করার জন্য বসানো হবে বহির্কঙ্কাল বা এক্সো-এস্কেলেটন।
অর্থাৎ হাত, পা, বাহুতে যোগ করা হবে শক্তিশালী যান্ত্রিক হাত, পা বা বাহুসহ আর নানা ধরণের বহির্কাঠামো বা বাড়তি দেহ কাঠামো। একজন মানুষ ইচ্ছে করলেই হাত, পা বা বাহু সহজেই নাড়াতে পারেন। একই ভাবে একজন সেনা যেন তার বাড়তি দেহ কাঠামোকে ইচ্ছে এবং প্রয়োজন মাফিক নাড়াতে বা ব্যবহার করতে পারেন তারও ব্যবস্থা করবে এ আণুবীক্ষণিক প্রযুক্তি।
এক্স-ম্যান বা আয়রন ম্যান সিনেমায় মানুষের যে রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সব মিলিয়ে ভবিষ্যতের রুশ সেনা সে রকম হয়ে উঠতে পারে বলে এ খবরে ধারণা দেয়া হয়েছে।অবশ্য মার্কিন সরকারের ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি বা ‘ডারপা’ নিজেদের এ জাতীয় গবেষণাকে বৈধতা দিতে চাইছে। আর সে লক্ষ্য সামনে রেখে রুশ গবেষণার কথা জোর গলায় বলছে। এমনি মত প্রকাশ করছেন অনেক বিশ্লেষক।
এদিকে, এমন গবেষণায় পিছিয়ে নেই ব্রিটেনও। এর আগে, ফাঁস হয়ে যাওয়া এক গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে যুদ্ধের ময়দানে অতিমানবীয় ক্ষমতা এবং সক্ষমতার অধিকারী সেনা নামানোর সম্ভাবনা যাচাই করছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।