নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) অভিযোগ করেছেন, ‘১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সই হলেও তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী এখনও পার্বত্য চট্টগ্রামকে তাদের উপনিবেশ হিসেবে দেখছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ থেকে আদিবাসীরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
আজ (রোববার) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আদিবাসীদের শিক্ষা, ভূমি ও জীবনের অধিকার বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লার্মা বলেন, ‘আদিবাসীরা সবসময়ই বঞ্চিত। সমাজব্যবস্থার বাস্তব আলোকে এ অবস্থার জন্য সরকার দায়ী। আদিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এর প্রধান কারণ। বরাবরই আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হয়। এ বাস্তবতা আমরা অনুভব করি।’
পার্বত্য অঞ্চলে সেনাশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলগুলো সেনাবাহিনী দ্বারা শাসিত। কিন্তু সংসদে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। কেউ এ বিষয়টি সংসদে উপস্থাপনও করে না। এভাবে চলতে থাকলে আদিবাসীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
সন্তু লারমা বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও শাসকগোষ্ঠী আদিবাসীদের প্রতি আন্তরিক নয়। ফলে আদিবাসীরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করছে। ৩০ লাখ আদিবাসী সমাজব্যবস্থার সাথে একাত্ম হতে চাইলেও তা পারছেন না।’ আদিবাসী সমাজের নেতৃত্ব শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
তবে, সন্তু লারমার এ সব অভিযোগ সত্য নয় বলে মন্তব্য করেন সংলাপে অংশগ্রহনকারী এ কে এম ফজলুল হক এমপি । আওয়ামী লীগ দলীয় এ এমপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি করেছে। এ চুক্তির বেশির ভাগই বাস্তবায়ন করা হয়েছে, কিছু বাকি। পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সেখানে আর সেনাবাহিনী থাকার দরকার হবে না।’
প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, নাজমুল হক প্রধান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক প্রমুখ।