নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভায় মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে পুলিশের ধাওয়ায় পান ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনার সাতদিন পর পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী।
মামলার তদন্তের অগ্রগতি আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন নিহত আবদুল মতিনের স্ত্রী নূরতাজ বেগম।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন জানান, মামলার অভিযোগে বলা হয় নূরতাজ বেগম ও তার স্বামী আবদুল মতিন বাড়ির পাশের একটি স্তূপ থেকে খড় আনতে যান। তখন মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি মতিনকে ধাক্কা দেয়। এর প্রতিবাদ করায় ফখরুল ইসলামের (মোটরসাইকেলে থাকা এএসআই) নির্দেশে আরিফুজ্জামান আরিফ (কনস্টেবল) পাশের জলাশয়ে মতিনকে চুবিয়ে হত্যা করে।
মঙ্গলবার ওই ঘটনায় শুনানি শেষে আদালত অভিযোগটি আমলে নেন। যেহেতু ওই ঘটনায় একজন পুলিশের কনস্টেবলও মারা গেছে, সেহেতু আদালত সোনারগাঁ থানার ওসিকে মামলার ও তদন্তের অগ্রগতি আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলেছেন। ওই প্রতিবেদনের পর নূরতাজ বেগমের মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট আবদুল মতিন ও কনস্টেবল আরিফুজ্জামান আরিফের মৃত্যুর ঘটনার পরদিন ৩ আগস্ট পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলামিন তালুকদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওইদিন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) ফোরকান শিকদার ও পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশিদ মণ্ডল।