আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
শনিবার সংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলার সময় তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি আরো জানান, ২৪ আগস্ট তুরস্ক সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি আরো জানান, অক্টোবর মাসে কোনো এক সময় তুরস্ক সফর করতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতা এখনো তুরস্ক সফর করেননি।
সিএনএন-তুর্ক সংবাদমাধ্যমের জেনারেল ম্যানেজার ইলদিরিমের বক্তব্যের সময় সেখানে ছিলেন। ইলদিরিম বলেন, ‘গুলেনকে হস্তান্তরের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে, এ ছাড়া মধ্যস্থতার আর কোনো উপায় নেই।’ তিনি বলেন, ‘তুরস্কে আমেরিকাবিরোধিতা থাকবে কি থাকবে না, তা এর ওপরই নির্ভর করছে।’
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ঢিলেঢালা অবস্থান এবং অভ্যুত্থানপন্থিদের বিরুদ্ধে সরকারের শুদ্ধি অভিযান নিয়ে তাদের কঠোর সমালোচনা তুর্কি সরকারের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে তুরস্কে প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীরা যুদ্ধবিমান, সামরিক হেলিকপ্টার এবং ট্যাংক ব্যবহার করে। এরদোয়ানের আহ্বানে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করে।
১৫-১৬ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান চেষ্টার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার লোককে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত, না হয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সামরিক কর্মকর্তা, বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও রয়েছেন।
অভ্যুত্থান চেষ্টায় নিজের কোনো ভূমিকা নেই বলে বারবার দাবি করলেও গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চাপ বাড়িয়ে বলেছে তুরস্ক।