নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পরিচয় সংক্রান্ত সেবা নিতে যাওয়া ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত সমস্যা জেনে তা দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
এ কাজের জন্য টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করে দায়ী ব্যক্তিদের প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে বলেও জানানো হয়।
ইসি সূত্রে জানা যায়, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি করে চিঠি দিয়েছে সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেসন্স) সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কে সমস্যা সম্পর্কে কোনো ব্যক্তি যদি উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন, তা যাচাই করে দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অফিসের কাগজ-কালি-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সেবা দেওয়ার কথা।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো কোনো অফিসে উক্ত সেবা দেওয়ার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জড়িতদের চাকরিচ্যুত করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি এ রকম একটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় `আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ` প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদরের সংগ্রাম প্রামানিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে মাসুদ রানা নামক একজনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তার আইডি কার্ড সংশোধন করেছেন। এছাড়া তিনি নিজে ১২ বছর বয়স পরিবর্তন করে পৃথক এলাকায় দ্বৈত ভোটার হয়েছেন মর্মে দুটি গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে (যেগুলোর প্রমাণপত্রও রয়েছে)। এতে প্রতীয়মান হয় যে, জাকির হোসেন জালিয়াতি ও দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ইসি সচিবালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং ডেটাবেজের সঠিকতা বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে প্রত্যাহার করার জন্য ইতোমধ্যে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রকল্প কার্যালয়কে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।