নিজস্ব প্রতিবেদক : বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা এ অবরোধ চলে। অবরোধের কারণে শাহবাগ ও এর আশপাশ সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
অবরোধের একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এতে জোটের ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
আজকের অবরোধ থেকে আগামী ১৮ আগস্ট দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এছাড়া আগামী ২০ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মিছিলটি চারুকলা অনুষদের সামনে গেলে পুলিশের প্রথম বাধার মুখে পড়ে। এরপর বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে গেলে দ্বিতীয়বার বাধায় পড়ে। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে ৬ নেতাকর্মী আহত হন।
আহতরা হলেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্থ সম্পাদক গোবিন্দ দাস, নগর শাখার সদস্য অরুপ দাস শ্যাম, প্রগতি বর্মণ তমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, ছাত্রফ্রন্ট জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা মশিউর রহমান ও হুসাইন আবেদিন। এদের মধ্যে গোবিন্দ দাসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা বলেন, যদি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করা নিয়ে গণভোট নেয়া হয়, তাহলে ১ শতাংশ ভোট যাবে এর পক্ষে। আর ৯৯ শতাংশ মানুষই এর বিরোধিতা করবে। শুধু দাদাদের খুশি করতে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে। রামপালের কারণে ব্যবহৃত কয়লায় পশুর নদীসহ আশপাশের নদী ও খালগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়বে।
জোটের সমন্বয়ক নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন, এই উন্নয়ন দেশের স্বার্থে নয়। এটি বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার ৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস হবে। সব কিছু জেনেও সরকার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে। ছাত্র সমাজ বুক পেতে দেবে তবুও এ বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেবে না।
এর আগে ২৮ জুলাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছিল পুলিশ।