নিজস্ব প্রতিবেদক : যাত্রী স্বল্পতার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন পর্যন্ত মোট ১০টি হজ-ফ্লাইট বাতিল করেছে। বাতিলকৃত ফ্লাইটের কারণে বিমানের হজযাত্রী পরিবহনে ৫ হাজার আসনের ক্যাপাসিটি খোয়া গিয়েছে। গত ৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া হজ-ফ্লাইট পরিচালন কার্যক্রমের আওতায় বাতিলকৃত ফ্লাইটের কারণে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে বিমান।
যাত্রী সংকটের কারণে হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হজ এজেন্টদের আসন সংরক্ষণপূর্বক টিকেট সংগ্রহ করার অনুরোধ জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক খাঁন মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, উপর্যুপুরি ফ্লাইট বাতিল ও যাত্রী সংকটের বিষয়টি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ অবস্থা উত্তরণে বা পরিস্থিতির আরো অবনতি রোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সকল হজ এজেন্টদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিমানে তাদের আসন নিশ্চিত পূর্বক প্রযোজনীয় টিকেট সংগ্রহের অনুরোধ জানিয়েছে।
হজ এজেন্সি এসকে এয়ার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কোটা পদ্ধতির জটিলতার ফাঁদে পড়েছে হাজার হাজার হজযাত্রী। কনফার্ম টিকিট থাকার পরও দেরিতে কোটা অবমুক্ত করায় অনেক হজযাত্রী এখনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পায়নি। বিষয়টিকে একটি অদূরদর্শীতার ফসল হিসেবেও আখ্যায়িত করেন কবির হোসেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে এ বছর বাইতুল্লাহ যিয়ারাতে যাবার কথা ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী। গত ৪ আগস্ট থেকে যৌথভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন শুরু করে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট হজযাত্রী ৩৬ হাজার ৭৫২ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
আগতদের সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৭০৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩৪ হাজার ৪৭ জন। এখন (১৭ আগস্ট, বুধবার) যাবত পরিচালিত হজ ফ্লাইট ফ্লাইট সংখ্যা ১১১ টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৪৭টি এবং সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইটের সংখ্যা ৬৪টি।