আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের রাজধানী দাম্মামের একটি শপিং সেন্টারে পণ্য প্রদর্শনের মত গৃহকর্মী প্রদর্শন করেছে একটি নিয়োগকারী সংস্থা। এই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
দেশের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালিদ আবালখালি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় এমন ঘৃণ্য কাজকে কখনো সমর্থন করে না। এ ঘটনার তদন্ত করা হবে।
আবালখালি বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশে একটি কোম্পানি বেশ কিছু গৃহকর্মীকে পন্যের মত প্রদর্শন করেছে। তারা বিপণন কৌশল হিসেবে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এই কাজ করেছে।
শপিং সেন্টারে নারীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ সমালোচনা হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী তুর্কি আল মুসা জানিয়েছেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র ব্যবসায়ের সীমা লঙ্ঘন নয় বরং এটি মানব পাচারের একটি প্রক্রিয়া।
সৌদির মানব পাচার আইন অনুযায়ী, যে কোনো বয়স বা লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে খারাপ বা অমানবিক আচরণ প্রদর্শনকারীকে অত্যাচারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। মৌখিক বা শারীরিকভাবে অত্যাচার, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, হুমকি দেয়া, অপহরণ, যৌন নির্যাতন, জোর করে কাজ করানো, জোর করে কাউকে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা, ক্রীতদাসের মত আচরণ করাও অনৈতিক।
আবালখালি জানিয়েছেন, মানব পাচার করলে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তাছাড়া গৃহকর্মীরা কোনো বস্তু নয় যে তাদের পণ্যের মত পরিদর্শন করতে হবে। এটা সত্যিই খুব অমানবিক কাজ। এমন কাজ মানুষের মর্যাদা ও মানবিক মূল্যবোধের বিরোধী।