আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্লাটিনাম খনিতে কাজের সময় প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, রুস্টেনবার্গের অর্ধেক নারী যৌন সহিংসতা অথবা পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য হয়েছেন।
জরিপে এমএসএফ বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার এ চিত্র ‘রোমহর্ষক হলেও বিরল নয়’। বিশ্বে ধর্ষণের সর্বোচ্চ ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকা ঘটলেও বিচারের হার একেবারেই কম।
দক্ষিণ আফ্রেকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রুস্টেনবার্গ পৌরসভার ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৮ শতাধিক নারী বলেছেন, ১১ হাজার নারী ও তরুণীর মাত্র ৫ শতাংশ কীভাবে এইচআইভি সংক্রমণ এবং গর্ভধারণ রোধ করা যায় সে ব্যাপারে সচেতন ছিল।
আন্তর্জাতিক এ দাতব্য সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে, যৌন সহিংসতার শিকার বেঁচে থাকা নারীরা নিজের যত্ন নিতে গিয়ে অন্যান্য বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রে এ প্লাটিনাম খনির অবস্থান হওয়া সত্ত্বেও রুস্টেনবার্গে অনেক দরিদ্র সম্প্রদায় বসবাস করছেন।
স্থানীয় খনির অর্থনীতি থেকে লাভের আশায় দক্ষিণ আফ্রিকার নারী-পুরুষ এবং বিদেশিরা এই শহরে কাজের আশায় যান। এমএসএফ বলছে, বিশেষ করে অভিবাসী নারীদের মধ্যে বেকারত্ব ছিল উচ্চ পরিমাণে। এই নারীরা খনিতে নিযুক্ত পুরুষদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন।
দাতব্য সংস্থাটি বলছে, ওই এলাকায় যৌন স্বাস্থ্যের যত্নে প্রশিক্ষিত কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। বিবিসির সংবাদদাতা পুমজা ফিহলানি জোহানেসবার্গ থেকে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীদের চিকিৎসা এবং আইনি সহায়তা চাইতে চলমান সচেতনতা প্রচারণা উৎসাহিত করবে বলে প্রত্যাশা করেছে কর্তৃৃপক্ষ।
রুস্টেনবার্গ পৌরসভার মারিকানা খনিতে শ্রমিক ধর্মঘটে পুলিশের গুলি চালানোর চতুর্থ বার্ষিকীর সময় এ জরিপ প্রকাশ করেছে এমএসএফ। ২০ বছরের বর্ণ বৈষম্যের শেষে চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়াবহ ওই খনি সহিংসতার ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।