নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ফৌজদারি আইনের মামলায় অভিযুক্ত কোনো আসামি মারা গেলে তার বিচারের কোনো বিধান নেই। ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি তিনি দোষী হন, তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। তার জড়িত থাকার কথা যদি প্রমাণ হয়, তবে জনগণ তাকে ঘৃণার চোখেই দেখবে।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ (শনিবার) অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা যারা এর নেপথ্যে ছিলেন, ইতিহাসের কারণেই কিন্তু সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আমরা তাদের খুঁজে বের করতে কোনো কমিশন গঠন করবার কথা চিন্তা-ভাবনা করছি। আমরা যারা সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরকে কিন্তু আমরা বিচারের আওতায় আনতে পেরেছি। তাদেরকে সাজা দিতে পেরেছি। খুনি মুশতাক যদি বেঁচে থাকতেন, তার যদি বিচার করা যেত, মাহবুবুল আলম চাষীর যদি বিচার করা যেত, এখন পলাতক রশীদকে যদি বের করা যায় তাহলে এর নেপথ্যে আরো কারা আছে সেটা বের করা যাবে। যারা হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত নয়, কিন্তু বাইরের ষড়যন্ত্রে সঙ্গে জড়িত, সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো অনেক তথ্য পেতাম। সেটা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় এখন কমিশন করে অন্তত জিজ্ঞাসা করে ইতিহাসের জন্য এই জিনিসটা করা উচিত।’
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যার বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আমার বিশ্বাস যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে এ মামলার রায় হবে’।
একুশে আগস্ট হামলা মামলার আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে শুধু বলব, আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।