আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে চালানো এক জনমত জরিপে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে গেছেন ডেমক্রেট দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন।
রয়টার্স ও ইপসসের করা ওই জনমত জরিপে দেখা গেছে, হিলারি ট্রাম্পের চাইতে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। শুক্রবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ১৪-১৮ অগাস্ট পর্যন্ত চালানো নতুন এ জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ ভোটার নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারিকে ভোট দিতে আগ্রহী। ট্রাম্পের পক্ষে জনসমর্থন ৩৪ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেওয়া বাকি ২৩ শতাংশ ভোটার এ দুজনের কাউকেই ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
জরিপের এই তথ্য হিলারিকে বেশ স্বস্তি দেবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। আগের নির্বাচনে বারাক ওবামা ও রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির মধ্যে সমর্থনের ব্যবধান দুই পয়েন্টেরও কম ছিল।
রয়টার্স ও ইপসসের করা পৃথক জরিপেও হিলারিকে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
‘প্রার্থীদের মধ্যে কাকে পছন্দ’- এ প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া ৪১ শতাংশ হিলারির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ৩৪ শতাংশ ভোট নিয়ে ট্রাম্প দ্বিতীয়, ৭ শতাংশের ভোট নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গ্যারি জনসন তৃতীয় হয়েছেন। দুই শতাংশের পছন্দের তালিকায় আছেন গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন।
নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই জনমত জরিপগুলোতে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি এগিয়ে ছিলেন। রয়টার্স ও ইপসসের জরিপে সবসময়ই তার পক্ষে ৪১ থেকে ৪৪ শতাংশ সমর্থনের দেখা মিলেছে। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন ৩৩ থেকে ৩৯ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে।
তবে তরুণদের মধ্যে হিলারি ও ট্রাম্প দুজনেরই অবস্থান নাজুক বলে জানিয়েছে রয়টার্স। জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ জানিয়েছেন, এ দুজনের কেউই আমেরিকান ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে পারছেন না। এদের হাত ধরে দেশ ভুল পথে এগিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন ই-মেইল পাঠানোর কারণে প্রশ্ন ও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে হিলারিকে। নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারিকে সমর্থনের ক্ষেত্রেও এটি ভোটারদের প্রভাবিত করছে বলে ধারণা রয়টার্সের।
অন্যদিকে অভিবাসী, মুসলমান ও নারীদের নিয়ে ‘কটাক্ষ’ ও ‘বাজে মন্তব্য’ করায় ট্রাম্পের রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও সমালোচনা চলছে।দলটির অনেক প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক কংগ্রেস সদস্যরা রিপাবলিকান শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ট্রাম্পকে সহযোগিতা না করার আহবান জানিয়েছেন।