Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
রুশ-চীন হুমকি মোকাবেলায় এবারে পানির তলের ড্রোন নামাবে আমেরিকা

রুশ-চীন হুমকি মোকাবেলায় এবারে পানির তলের ড্রোন নামাবে আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

মার্কিন নৌবাহিনীর পানির তলের ড্রোন তৈরির বিষয়ে আশাবাদী হয়েছে উঠেছে। চীন ও রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলায় এ ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। মার্কিন বিমানবাহিনী যখন নির্বিচারে ড্রোন ব্যবহার করছে তখন এ পদক্ষেপ নিলো দেশটির নৌবাহিনী।

মার্চে ইকো ভয়েজার নামের একটি নৌড্রোনের কথা প্রকাশ করেছে বোয়িং। বোয়িং’এর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ঠিকাদারিতে ইকো ভয়েজারের কথা তুলে ধরা হয়। ৫১ ফুট লম্বা চালকহীন পানির তলের ড্রোনটি দিয়ে নজরদারি তৎপরতার চালানোর কথা বলা হয়েছে। ব্যাটারি এবং ডিজেল চালিত ইকো ভয়েজার টানা কয়েক মাস পানির নিচে থাকতে পারে। এ ভাবে সাগরের খারাপ আবহাওয়াকে এড়িয়ে যেতে পারে এ নৌড্রোন। এ ছাড়া, ব্যাটারি বদলের জন্য মাঝে মাঝে ভেসে উঠতে হয় একে।

ভবিষ্যতে পানির তলে চালকহীন যানের তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে ইকো ভয়েজার। বোয়িং ফ্যান্টাম ওয়ার্কসের প্রেসিডেন্ট ডেরি ডেভিস এ কথা বলেছেন। আসন্ন শরৎকালে ইকো ভয়েজার পরীক্ষামূলক ভাবে সাগরে নামানো হবে। প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার উপস্থিতি বজায় রাখার অংশ হিসেবে এ পরীক্ষা চালানো হবে।

মার্কিন বার্ড কলেজের সেন্টার ফর স্টাডি অব দ্যা ড্রোন’এর সহ-পরিচালক আর্থার হোলান্ড মাইকেল দাবি করেছেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার উত্তেজনা বাড়ছে। দেশ দু’টির বিশাল নৌবাহিনী রয়েছে আর এ অবস্থায় নৌজগতে চালকহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের আগ্রহও স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে চলেছে। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নৌড্রোন পুরো মাত্রায় ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ সব ড্রোন হবে নানা আকারের এবং নির্ভরযোগ্য। এ ছাড়া, উচ্চমাত্রায় স্বয়ংক্রিয় হবে এ গুলো।

আগামী অর্থ বছরে নৌড্রোন উন্নয়ন খাতে ৩১ কোটি ৯০ লাখ ডলার ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। ইকো ভয়েজার ছাড়াও  সি হান্টার নামের পানির তলের আরেকটি ড্রোন নিয়ে কাজ করছে পেন্টাগন। পানির তল থেকে শত্রু জাহাজ শনাক্ত এবং অনুসরণের কাজ করবে সি হান্টার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সি হান্টারকে আরো চৌকস করে তোলা হচ্ছে।

আকাশের ড্রোন সহজে তথ্য প্রেরণ করতে পারে পানির তলের ড্রোনের তা পারে না। নৌড্রোনকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে চাইলে এ ক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ছাড়া, ঝড় উঠলে কোনো কোনো নৌড্রোন বন্দরেই আটকা পড়ে যায়।

এ সীমাবদ্ধতা দূর করে অদূর ভবিষ্যতে নৌড্রোন ব্যাপক তৎপরতা চালাবে বলে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

August 2016
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
Scroll To Top