নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্য প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলে উচ্চ পাসের হার এবং একই সঙ্গে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি মহল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুব খুশির ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
এবার গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ পরীক্ষার্থী।গত বছরের তুলনায় এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার, জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে।
তবে পরিমাণগত দিক থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও জিপিএ ৫ বেড়ে গেলেও গুণগত মান নিয়ে অতৃপ্তি ও শঙ্কা থেকেই গেছে। তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে,এত ভাল ফলাফল নিয়েও উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তির সুযোগ কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, এ বছর যে পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে তাদেরকে সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আধীনস্ত ডিগ্রি কলেজগুলোতে স্থান সংকুলন করা যাবে। তাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দারস্থ হতে হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, এরইমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সেটা কার্যকর করা হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে উন্নত স্তরে চলে যাবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক থাকতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের পর মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সতর্কতামূলক বার্তা দেয়া হয়।
১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে ১ কোটি টাকা জরিমানা
তাছাড়া, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ভর্তিতে সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসরণ না করায় ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে এক কোটি টাকা করে জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
কলেজগুলোকে ১০ দিনের মধ্যে জরিমানার ওই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
জরিমানার অর্থের অর্ধেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, প্রাপ্ত অর্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সঞ্চয় (ফিক্সড ডিপোজিট) করবে। এই সঞ্চয় থেকে পাওয়া মুনাফা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি হিসেবে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থের ওপর ভ্যাট আরোপ না করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জরিমানার বাকি অর্ধেক অর্থ ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন ও কিডনি ফাউন্ডেশনে জমা করতে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে কলেজগুলো ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি তদারক করবে।