আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “আমি মনে করি বিএনপিতে যারা এখনো মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী আছেন, তারা একে একে এই সন্ত্রাসী নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপিকে ঢেলে সাজাবেন।”
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন হানিফ।
এর ঘণ্টাখানেক আগে বিএনপির সব পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী।
সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যখন কঠিন এক সময় পার করছে, তখনই শমসের মবিনের এই ঘোষণা এল।
কখনো নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েকবছর বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছিই ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন।
হানিফ বলেন, “বিএনপির অনেক নেতাই বর্তমান নেতৃত্বে আস্থা রাখতে পারছেন না। মাঠের নেতারাও চান তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে সাজাতে।” এর আগেও বিভিন্ন সময়ে একই ধরনের কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ। তার দাবি, ‘আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার সঙ্গে একমত না হওয়ায়’ বিএনপির বিবেকবান নেতারা খালেদা জিয়ার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
অন্যদিকে সরকারই বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত জুলাইয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “বাংলাদেশে এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হচ্ছে বিএনপি। সেজন্য একে শেষ করতে তারা (সরকার) উঠে পড়ে লেগেছে।”