নিজস্ব প্রতিবেদক :
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ দেখা করতে যাচ্ছেন স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুনসহ আরো ৫/৭ জন।
এ বিষয়ে স্ত্রী আয়শা জানান, তারা দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন। দেখা করার জন্য তারা ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় বুধবার সকালে পড়ে শোনানো হয়েছে। রায় শোনার পর মীর কাসেমকে কিছুটা চিন্তিত ও তার চোখে মুখে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন সংক্রন্ত বিষয়ে মীর কাসেম আলী সময় চেয়েছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বনিক এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মীর কাসেম আলীকে তার রিভিউ আবেদন সুপ্রিম খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়।
কারা সূত্র জানায়, কারা কর্তৃপক্ষ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শােনানো হলে তাকে কিছুটা চিন্তিত মনে হচ্ছিল। তার চোখে মুখে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করবেন কিনা এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মীর কাসেম আলী সময় চেয়েছেন। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি কারাগারে তার কাছে থাকা রেডিওর মাধ্যমে রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায় শুনেছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এসে পৌঁছে দেয়া হয়। রাত অনেক বেশি হওয়ায় রাতে মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়।
৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দী রয়েছেন। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।