নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘সীমাহীন আস্থা’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের বহুল প্রতীক্ষিত ‘সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড’। বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর পিলখানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে ব্যাংক পরিচালনার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পিলখানায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রিন্সিপাল শাখার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
তফসিলি ব্যাংক হিসেবে নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া সীমান্ত ব্যাংক পরিচালনা করবে রাইফেলস কল্যাণ সংস্থা। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে মোখলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংকের আদলে সীমান্ত ব্যাংক পরিচালিত হবে।
এ ব্যাংকের কার্যক্রমও হবে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতোই। তবে ব্যাংকে চাকরি ও ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন বিজিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সীমান্ত ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যাংকের লভ্যাংশের পুরো অর্থ ব্যয় করা হবে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা বিজিবি সদস্য ও তাদের পরিবারের নানামুখী কল্যাণে। এ ব্যাংক থেকে বিজিবি সদস্য কিংবা তাদের পরিবারকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে। থাকবে পেনশন স্কিম, গৃহ নির্মাণ ঋণ, দুরারোগ্য রোগের জন্য চিকিৎসা সহায়তা। এছাড়া বিবাহ ও কৃষি ঋণ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ঋণ কার্যক্রমেও সহায়তা দেয়া হবে। পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে ব্যাংকটি বিজিবি সদস্যদের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
চলতি ২১ জুলাই হতে সীমান্ত ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিষয়টি বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় চলতি বছরের ১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়। ফলে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭টিতে।
এর আগে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিজিবির মহাপরিচালকের কাছে ব্যাংকের লেটার অব ইনট্যান্ট হস্তান্তর করেন তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ব্যাংকটির লোগো চূড়ান্ত করা হয়।
২০১৫ সালের ১৭ জুন সীমান্ত ব্যাংকের সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ২৩ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদের কাছে ব্যবসয়িক পরিকল্পনা তুলে ধরে ব্যাংকটি। প্রথম বছরে ৪টি শাখাসহ মোট ৪৪টি শাখা খুলতে চায় সীমান্ত ব্যাংক।