নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল ফান্ড’ সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্যে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন। ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডন হয়ে কানাডায় পৌঁছবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়লে ‘ফিফথ রিপ্লেনিশমেন্ট কসফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড টু ফাইট এইডস, টিউবারকুলোসিস এ্যান্ড ম্যালেরিয়া’ শীর্ষক সম্মেলনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং এই কার্যক্রমে ধনী দেশগুলোর অর্থ প্রদানের অঙ্গিকার প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।
কানাডা থেকে নিউইয়র্কে আসবেন ১৮ সেপ্টেম্বর। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গির অনেকে সরাসরি ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে আসবেন। মুখ্যসচিব নিজেরও ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসার কথা।
এদিকে জাতিসংঘ সচিবালয় থেকে ৩০ আগস্ট জানানো হয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে যাবার কথা। পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে সৃষ্ট স্থবিরতা/মনোমালিন্য মিটিয়ে ফেলার অভিপ্রায়ে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট একান্তে বৈঠক করতে চান শেখ হাসিনার সাথে। এ কারণে ডিসিতে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রটি জানায়, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত আগ্রহী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের ব্যাপারে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে গেলে সেখানকার প্রবাসীদের পক্ষ্য থেকেও শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর প্রস্তুতি রয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর নাগাদ তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করতে পারেন।
নিউইয়র্কে এবারও তাকে গণ সংবর্ধনা প্রদানের কর্মসূচি নিয়ে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাংগঠনিক অব্যবস্থাপনা এবং কোটারিপনার অবসানের দাবিতে সোচ্চার নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা সমাবেশ আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে চাচ্ছেন। একইসাথে তারা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নয়া কমিটির দাবি আদায়ের চেষ্টাও চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ৩ বছর মেয়াদের বর্তমান কমিটি এখন ৫ বছর অতিক্রম করছে।