আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যেসব পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তাদের নাম প্রকাশ করতে জার্মান নারীদের বাধ্য করা হতে পারে। সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণ মামলায় এমনটা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে একটি বিল প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ বিলটি পাস হলেই তা আইনে পরিণত হবে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দেশটির আইনমন্ত্রী হেইকো মা’স বলেছেন, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এ আইনটি প্রয়োগ করা হবে। বিশেষ করে যেসব পুরুষ কোন সন্তান তার বলে দাবি করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন সেক্ষেত্রে এ আইনটি প্রয়োগ করা হবে। এ আইনে সংশ্লিষ্ট নারীকে তথ্য দিতে বাধ্য করা হবে।
বলা হবে, তিনি গর্ভ সঞ্চারের সময় কোন কোন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন। তাদের নাম প্রকাশ করতে বলা হবে। তবে যদি এক্ষেত্রে যথেষ্ট ‘সিরিয়াস কারণ, থাকে তাহলেই ওই নারী নাম প্রকাশ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পর এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিছু পুরুষ মিথ্যা পিতৃত্বের দাবি করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চান। তা মোকাবিলায় এমন আইনী ব্যবস্থা। এটা কার্যকর করা হলে একটি পরিবার অনেক দিন ধরে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে পারবে।
তাই দাবি করা ‘পিতৃত্ব’ নিধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট নারীকে তার সন্তানের ‘বায়োলজিক্যাল’ পিতার নাম প্রকাশ করতে বলা হবে। এতে সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করা পিতার জন্যও আইনী লড়াইয়ে খরচ কম হবে। এখন এ বিষয়টি আদালতের বিষয়।
এর আগে গত বছর মার্চে জার্মান হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে কোন সন্তানের জন্ম নিলে সেই সন্তানের পিতার নাম প্রকাশ করার আইনগত কোন বৈধতা নেই। অনেক নারী তাদের প্রেমিকের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানানোর পর এ রায় দেয়া হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট নারীর স্বামী হয়তো তার সন্তানের ‘বায়োলজিক্যাল’ পিতা নয়।