নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় পুলিশের অভিযানে নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার জাহাঙ্গীর ওরফে মেজর মুরাদ নিহত হয়েছেন। এ সময় রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ আলমসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত মুরাদ নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল মান্নান জানান, রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর রোডের ৩৪ নম্বর বাসার ৬ তলা ভবনের নিচতলায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান শুরু হয়। এসময় বাসায় অবস্থানরত জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে এক জঙ্গি নিহত হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের নাম মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ। সে ওই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এর আগেও একদিন তারা ওই বাসায় অভিযানে যান। তবে সেদিন বাসাটি তালাবন্ধ থাকায় ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, “বাড়িওয়ালাকে বলে আসি, ভাড়াটিয়া এলে পুলিশকে জানাতে। আজকে সে মালামাল আনতে বাসায় গেলে বাড়িওয়ালা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ যায়। তালা খুলে বাসায় ঢুকতে সে পুলিশকে স্ট্যাব করে। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পালাতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।”
পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ইউসুফ আলী জানান, মেজর মুরাদ জেএমবির অন্যতম প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন। এ ছাড়া, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলাকারীদেরও প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, অভিযানে পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আহত তিন কর্মকর্তা হলেন রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির ও উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের অতিরিক্তি আইজিপি মুখলেসুর রহমান অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে। আমরা দিবারাত্রি জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার চেষ্টা করছি। এখানে যে সংবাদ পাচ্ছি, সে সংবাদের ওপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অতিরিক্তি আইজিপি বলেন, আজকে (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে এখানে একটি জঙ্গি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট পুলিশ ইন্টিলিজেন্সের উপর নির্ভর করে রূপনগর থানা পুলিশ এ অপারেশনটি পরিচালনা করে।