Monday , 23 December 2024
নিউজ টপ লাইন
মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর

মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক :  

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অভিযোগে ষষ্ঠ ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকর হল। এর আগে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়।

সিনিয়র জেল  সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের জানান, “রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১০ মিনিট পর অর্থাৎ ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কাসেম আলীর দেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামানো হয়।”

রাত সাড়ে ১২টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মীর কাসেম আলীর মরদেহবাহী গাড়ি তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এর আগে বিকেলে পরিবারের সদস্যরা শেষ সাক্ষাৎ করতে যান মীর কাসেম আলীর সঙ্গে। পরিবারের সদস্যরা কারাগারে থাকা অবস্থাতেই সেখানে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, তার আগে প্রবেশ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর পাশাপাশি কারাগার এলাকায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই এলাকার যান চলাচল। তার পরই গাজীপুর ও ঢাকায় মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের। তারপর একে একে কারাগারে প্রবেশ করেন ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাহী হাকিম ও সিভিল সার্জন। কোনো ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় কারাগারে এসব সরকারি কর্মকর্তাই উপস্থিত থাকেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর দুটি অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীম উদ্দিন হত্যা সংক্রান্ত একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলীর আইনজীবীরা। গত রোববার সেই আবেদনের শুনানি শেষ হয় এবং মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়।

রিভিউ খারিজ হওয়ায় মীর কাসেম আলীর সামনে কেবল প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) মীর কাসেম আলী প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। এরপরই ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে দৈনিক নয়াদিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় মীর কাসেম আলীকে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

সর্বশেষ নিউজ

ফেসবুক পেইজ The Daily Neighbour

ডেইলি নেইবার আর্কাইভ

September 2016
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
Scroll To Top