আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেনের পূর্ণকালীন সেনা সংখ্যা ২০০ বছরের মধ্যে নিচে নেমে গেছে। এ সংখ্যা ৮০ হাজারের নিচে নেমে গেছে। গত জুলাই মাসে দেশটির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনার লক্ষ্যমাত্রা ৮২, ৫০০ নির্ধারণ করা হলেও শেষপর্যন্ত তা ৭৯,৫০০ যেয়ে ঠেকে। ১৮০৯ সালে নেপোলিয়নের যুদ্ধের পর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা আর কখনোই এতো নিচে নেমে আসে নি।
এদিকে, ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করতে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল এবং সিনেমায় ব্যাপক বিজ্ঞাপন চিত্র প্রদর্শন করেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ সব চিত্র নির্মাণে কোটি কোটি পাউন্ড ব্যয় করা হয়েছে।
শীর্ষ স্থানীয় সেনা কর্মকর্তারা ব্রিটেনের সেনা সদস্য বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ব্রিটেনের রাজকীয় বাহিনীতে সৈন্য ভর্তি করার নতুন পথও বেছে নিয়েছেন তারা। কোনো কর্মরত সেনা তার বন্ধুদের সেনাবাহিনীতে নিয়মিত সৈনিক বা রিজার্ভ হিসেবে ভর্তি করাতে সক্ষম হলে ভর্তি হওয়া প্রতি সৈনিক পিছু ১০০ পাউন্ড করে বোনাস দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য চাকরিরত সংশ্লিষ্ট সেনাকে ১০০ পাউন্ডের ক্রয় ভাউচার দেয়া হবে। একজন সেনা এ ভাবে সর্বোচ্চ ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের জন্য যে সব পোস্টার লাগানো হয়েছে তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক সেনা। দেশটির একটি সংবাদপত্রকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা বলেন, এ সব পোস্টারের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর করুণ দশাই প্রতিফলিত হয়েছে; আর চাকরিরত সেনারা হাস্য-কৌতুকের বিষয় হয়ে উঠেছেন।
অবশ্য ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মোট সেনা সংখ্যা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও দেশটির তিন বাহিনীরই অভিযান চালানোর মতো পর্যাপ্ত জনশক্তি রয়েছে। ব্রিটিশ বাহিনী তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।