নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রাম পর্যায়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই চাল বিক্রিতে কেউ অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা ডিলার তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি কোনো অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে বুধবার সরকারি দলের এমপি ইসরাফিল আলমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতদিন মানুষের প্রয়োজন থাকবে ততদিন এই খাদ্য দিতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তা বাড়ছে। দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে। কাজেই হয়তো অদূর ভবিষ্যতে কাউকে সাহায্য দিতে হবে না। তবে যারা প্রতিবন্ধী, যারা একেবারে বয়োবৃদ্ধ, কর্মক্ষম না তাদের আমরা এই সাহায্য দিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমি ঘোষণা দিয়েছি, ১০ টাকা কেজি ধরে চাল বিক্রির কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে সবসময় দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচি নেয়। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে সরকারে এসেছিলাম তখনো মানুষকে বিনা পয়সায় খাদ্য বিতরণ করতাম এবং প্রতি রমজান মাসে আমরা ১০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করি।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছিল বাংলাদেশে দুই কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না। আমরা হাতে তৈরি খাদ্যসহ বিভিন্ন খাদ্যসমগ্রী, পানি মানুষের কাছে পৌঁছে দেই এবং বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী দীর্ঘ ৯ মাস ২০ কেজি করে চাল বিনা পয়সায় ৫৫ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দরিদ্র মানুষের মাঝেও এই চাল পৌঁছে দিয়েছিলাম। কাজেই যতদিন মানুষের প্রয়োজন থাকবে, ততদিন আমরা এই খাদ্য দিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
মীর শওকত আলী বাদশার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াব এটা আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে বলিনি। এটা ছিল ’৯৬ সালের নির্বাচনের আগে। তখন এটা আমি নির্বাচনী বক্তৃতায় ঘোষণা দিয়েছিলাম।