রোববার (০১ নভেম্বর) বিকেলে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ‘তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল বাস্তবায়ন’ প্রসঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, তেজগাঁও এলাকায় ৫০০/৭০০ ট্রাকের কারণে সারা বছরই যানজট লেগে থাকে। তাই সময়ের দাবিতে যানজট নিরসনে রাস্তার ওপর আর কোনো ট্রাক রাখা চলবে না। রেলওয়ের একটি জায়গা রয়েছে। সেখানে যারা বিভিন্ন ঘর ও দোকানপাট করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন, তাদেরকে আহ্বান করছি, আপনারা ওই জায়গাটা ছেড়ে দেন। রাস্তার ট্রাকগুলো যেন সেখানে রাখা যায়। অবৈধ দখলদাররা তাদের স্থাপনা না সরালে উচ্ছেদ করা হবে।
সভায় রেলওয়ে মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বছরের পর বছর রেলওয়ের জায়গায় ট্রাক রাখা হচ্ছে, কিন্তু আমরা বাঁধা দেইনি। এখনও আপনারা ট্রাক রাখবেন। তবে সেই জায়গার আশেপাশে যারা দখল করে ঘর ও দোকানপাট করে রেখেছেন মেয়রের কথামতো আপনারা সরে যাবেন।
৭ নভেম্বর থেকে রাস্তায় যেন কোনো ট্রাক না থাকে সে ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাক মালিক, শ্রমিক, চালকসহ সবাই যেন মেয়রকে সহযোগিতা করেন সে আহ্বানও জানান রেলমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, রেলওয়ের উন্নতির জন্য আমাদের ৪৮টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্পের মধ্যে রেলের থার্ডলাইন ও ফোর্থলাইন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হবে। তখন আজ যেখানে ট্রাক রাখা হচ্ছে সে জায়গাটাও রেলের জন্য প্রয়োজন হবে। এর আগে ট্রাকের স্থায়ী টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সরকার জমি খুঁজছে।
বাংলাদেশ ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার।