নিজস্ব প্রতিবেদক :
উন্নয়ন প্রশ্নে প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারত পরস্পরের পাশে থাকবে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিট শেষে নৈশভোজের পর রোববার রাতে হোটেল লীলায় দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠক শুরু হয়। অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানান শহীদুল হক ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তারা জানান, তিস্তা প্রসঙ্গ বিস্তারিতভাবে আলোচনায় না হলেও সম্পর্কের গতিবিধিতে এ বিষয়ে আশাবাদী হওয়া যায়।
শহীদুল হক বলেন, ‘উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে। আর ভারতও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে বলেছেন, উন্নয়নের পথে আমরা এক সাথে যাত্রা শুরু করেছি।’
ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পারিবারিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনগণের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উল্লেখ করেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
সার্ক প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও দুই নেতার কথা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস-বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সংস্থা দুটির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় এই দুই সংস্থার সদস্যদেশগুলোকে একত্রে কাজ করারও আহ্বান জানান।