ডিআরইউতে (সম্প্রসারিত মিলনায়তনে) এক সংবাদ সম্মেলনে আজ রোববার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অক্টোবরে এসিডে ঝলসে গেছে ৫ জন নারীর শরীর, যৌতুকের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে ১৩ জন নারীকে। অথচ গত তিন মাসে গড়ে তিনজন নারীকে প্রাণ দিতে হয়েছে যৌতুকের বলি হয়ে।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোমায় আহত ও নিহতের সংখ্যা ১২৩ জন। এ মাসে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় আহত ও নিহত হয়েছে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু যা ৪০০ বছরের ইতিহাসে ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘গত ১ মাসে ১৮ জন মানুষকে কথিত ক্রসফায়ারের নামে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩২ নারী ও শিশু, সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের দ্বারা অপহরণ হয়েছে ২১৭ জন।’
তিনি আরো বলেন, ‘উদ্বেগের বিষয় হলো বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ শতাধিক জেলে অপহরণ হলেও ২০ দিন পার হয়ে গেলেও উদ্ধারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ দৃষ্টিগোচর হয়নি।’
এছাড়াও রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতায় ৫০ জন নিহত ও ৯৫১ জন আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীর হাতে নিহত ৮১ জন। গণপিটুনীতে নিহত হয়েছেন ৬ জন। ৮ জন পুুরুষ ও ২০ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।