স্পোর্টস ডেস্ক :
একসময় তাঁর নামের সমার্থক ছিল বিতর্ক। মাঠের ভেতরে প্রায়ই ঝামেলায় জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়া ছিল নিয়মিত ঘটনা। লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর লু্ইস সুয়ারেজকে ঘিরে অবশ্য তেমন বিতর্কিত ঘটনার জন্ম হয়নি। তবে সাম্প্রতিক নেতিবাচক ঘটনার পর আবার আলোচনার কেন্দ্রে উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার।
শনিবার লা লিগায় বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ছিল দেপোর্তিভো লা করুনা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে সহজেই, ৪-০ গোলে। প্রায় এক মাস পর মাঠে ফিরে লিওনেল মেসি গোল করেছেন। গোল পেয়েছেন সুয়ারেজও।
তবে সুয়ারেজের গোলের চেয়েও বেশি আলোচনা হচ্ছে তাঁর আচরণ নিয়ে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো আরিবাসের মুখে তিনি যেভাবে ঘুষি মেরেছেন তা ছিল রীতিমতো দৃষ্টিকটু। যদিও তখন দুজনের ধারেকাছেও বল ছিল না! বার্সেলোনা তারকার ভাগ্য ভালো, ঘটনাটা রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ায় হলুদ কার্ডও পেতে হয়নি তাঁকে। তবে ক্যামেরাকে ফাঁকি দিতে পারেননি সুয়ারেজ। লা লিগার শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির কাছে দেপোর্তিভো কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নালিশ করলে বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে তাঁর।
বার্সেলোনায় ‘শান্তশিষ্ট’ থাকলেও লিভারপুলে বড় ধরনের ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন সুয়ারেজ। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ চলার সময় প্যাত্রিস এভ্রাকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করায় আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। গত বিশ্বকাপে ইতালির জর্জো কিয়েল্লিনির ঘাড়ে কামড় দেওয়ার কথা তো প্রায় সবারই জানা! ওই অপরাধে নয় ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। যে কারণে পরের বছর কোপা আমেরিকাতেও তিনি খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় শাস্তি।