আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার দায়ে মস্কোর একটি আদালতে এক রুশ তরুণীর বিচার হয়েছে। গত বছর ২০ বছর বয়সি ওই তরুণীকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশের সময় আটক করা হয়।
রাশিয়ার প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দর্শন বিষয়ে অনার্স করছিলেন বারবারা কারাউলোভা। গত বছর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সিরিয়ায় তৎপর উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের এক রুশ সদস্যের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ওই সন্ত্রাসীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে তুরস্কে চলে যান।
সিরিয়ায় জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত বিদেশি সন্ত্রাসীদের একটা বড় অংশ রাশিয়ার নাগরিক। মস্কো ঘোষণা করেছে, দায়েশ বিরোধী অভিযানে রাশিয়াসহ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর অন্তত ২,৭০০ নাগরিক নিহত হয়েছে।
২০১৫ সালের এপ্রিলে যখন বারবারা কারাউলোভার বয়স ছিল ১৯ বছর তখন পিতামাতাকে না জানিয়ে তুরস্কে চলে যান তিনি। এরপর ওই বছরেরই ৫ জুন সিরিয়ায় প্রবেশ করতে গিয়ে তুর্কি সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন। তুর্কি পুলিশ বারবারাকে রাশিয়া ও আজারবাইজানের আরো ১৮ ব্যক্তির একটি দলের সঙ্গে আটক করে।
আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় ঘোষিত হতে পারে এবং তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাশিয়ার বিচার বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বারবারা। সরকারি কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিতে যাওয়ার অভিযোগ আনলেও তিনি তা অস্বীকার করে বলেছেন, একজন পুরুষের প্রেমে পড়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদে জড়িত হওয়ার কোনো ইচ্ছে তার ছিল না।
বারবারার আইনজীবী সের্গেই বাদামশিন দাবি করেছেন, রুশ আইনে সন্ত্রাসীদের পরিবারবর্গ বা আত্মীয়-স্বজনকে শাস্তি দেয়ার কোনো বিধান না থাকলেও রুশ কর্তৃপক্ষ বারবারাকে শাস্তি দিয়ে এ ধরনের অন্য তরুণীদের শিক্ষা দিতে চায়।