আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানির সাবেক শাসক এডলফ হিটলার যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রিয়া। এ বাড়িটি দিন দিন নব্য-নাজিবাদীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেক্ষাপটে গতকাল (সোমবার) ভিয়েনা এ ঘোষণা দিয়েছে।
অবশ্য, হিটলারের এ বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটাভুটি করতে হবে এবং ধারণা করা হচ্ছে- কোনো বিরোধিতা ছাড়াই সিদ্ধান্তটি পাস হবে।
অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলফ্যাং সোবোতকা বাড়িটি ভাঙার প্রস্তাব তুলে বলেছেন, “হিটলারের বাড়ি যাতে চিহ্নিত করা না যায় সেজন্য স্থায়ীভাবে তা ধ্বংস করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।” তবে এ বিষয়ে অস্ট্রিয়ার একটি কমিশন বলেছে, বাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলার অর্থ হবে অস্ট্রিয়ার ইতিহাসকে অস্বীকার করা।
অস্ট্রিয়ার ‘ব্রনাউ অ্যাম ইন’ শহরে বাড়িটি অবস্থিত এবং এর বর্তমান মালিক একজন নারী। তিনি বাড়িটি বিক্রি করা কিংবা নতুন ডিজাইন করার বিষয়ে সরকারি চাপকে জোরালোভাবে উপেক্ষা করে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রিয়ার সরকার অনেক বেশি শক্ত অবস্থান চলে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাড়িটি ভেঙে ফেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবে।
যদিও নাজি-বিরোধীরা এবং ইহুদি সম্প্রদায় বাড়িটি ভাঙার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে তবে ইতিহাসবিদরা বলছেন, হিটলারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত খুব কম স্থাপনাই অবশিষ্ট আছে। ফলে তিনতলা বিশিষ্ট হলুদ রঙের বাড়িটি এখন সংরক্ষণ করা উচিত।
হিটলারের স্মৃতিবিজড়িত এ বাড়ি ২০১১ সাল থেকে খালি পড়ে রয়েছে। তার আগে একটি অলাভজনক সংস্থা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের ওয়ার্কশপের জন্য এটি ব্যবহার করত।