আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে যোগগুরু নামে পরিচিত বাবা রামদেব বলেছেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করার পর এবার সরকারকে এসব সন্ত্রাসীর বসদের হত্যা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দাউদ ইব্রাহিম, হাফিজ সাঈদ, মাসুদ আজহার এবং সালাউদ্দিনকে তাদের বাসায় ঢুকে হত্যা করা উচিত।’ আজ (মঙ্গলবার) ভারতীয় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ওয়েবসাইটে বাবা রামদেবের ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকদের দাবি খারিজ করে দেয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রামদেব মন্তব্য করেছিলেন, ‘পাকিস্তান মিথ্যাবাদী দেশ। যদি তারা সত্য বলে থাকে তাহলে স্ট্রাইকের পর দিনই আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে ওই স্থানে ডাকা উচিত ছিল। কিন্তু তারা চুপচাপ সন্ত্রাসীদের লাস দাফন করে দিয়েছে।’
রামদেব সেসময় আরো বলেন, ‘সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ হাফিজ সাঈদ এবং দাউদ ইব্রাহিমকে টার্গেট করা। তাদের জীবিত ধরে আনার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের মৃত্যুতে বিশ্বে শান্তি স্থাপিত হতে সহায়ক হবে। এ জন্য গোটা দুনিয়া সবসময় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মনে রাখবে।‘
ভারতের উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের আগে সেখানে রাম মন্দির ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ময়দান উত্তপ্ত হওয়া প্রসঙ্গে রামদেব বলেন, ‘রাম মন্দির বিশ্বাসের বিষয়, এটা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এই বিষয়টি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।’ রামদেবের দাবি, ‘রাম ‘সেক্যুলার’, তিনি কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ের নন, বরং সকলের।’
রামদেব চীনের পণ্য সামগ্রী বয়কট করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, শত্রুদের শিক্ষা পাওয়া উচিত, তা সে ব্যবসা ক্ষেত্র হোক, রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনো গোষ্ঠী হোক, সব দিক থেকে এদের উপর প্রভাব ফেলা উচিত। গতকালই বাবা রামদেব বলেন, ‘ চিন যা করছে, তা ভারতের একতা, অখণ্ডতা, সার্বভৌমের জন্য বিপজ্জনক। তাই গোটা দেশে চীনা সামগ্রী কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।’ তার দাবি, এ ভাবেই তাদের (চীনকে) উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সম্প্রতি বলেছে, ‘জাতীয় স্বার্থে আমরা এখন থেকে চীনা পণ্য ব্যবহার করব না। স্কুল-কলেজেও চীনা সামগ্রী বয়কটের আহ্বান জানাতে চলেছে গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতেও এ নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার মধ্যে চীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোয় ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে।