নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে লেখা খোলা চিঠি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পৌঁছে দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা।
মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান ও লাঠিপেটায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে গতকাল বেলা তিনটার দিকে জাতীয় কমিটির একটি প্রতিনিধিদল গুলশানে ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসে।প্রতিনিধিদলে ছিলেন জাতীয় কমিটির নেতা বি ডি রহমতুল্লাহ, তানজীমউদ্দিন খান, রেহনুমা আহমেদ, মোশাইদা সুলতানা, কফিল আহমেদ ও কল্লোল মোস্তফা। এর আগে গত জুলাই মাসে জাতীয় কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা করতে গিয়েএ পুলিশী হামলার শিকারহয়।
পুলিশের এজাতীয় বাধাকে অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ। তিনি জানান শান্তিপূর্নবাবে এরকম মিচিল করে চিঠি দিতে যাওয়া এটি গণতান্ত্রিক অধিকার।কিন্তু পুলিশ বাড়াবাড়িকরেছে।
বিকেলে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে হামলায় জড়িত দায়ি পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে বিচার দাবি করেন এবং দেশের সচেতন জনসাধারণকে সুন্দরবন ধ্বংসসহ মহাজোট সরকারের জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন ধ্বংস করতে সরকার জনসাধারনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও সকল মতামত উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ভারতের এনটিপিসি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। মহাজোট সরকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে দেশের স্বার্থ সম্পূর্ণ জলাঞ্জলী দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় সদা তৎপর ভূমিকা পালন করছে। দেশের মধ্যে যেন কোন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে এই জন্য সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় এ সকল প্রতিবাদ কর্মসূচী দমন করছে।