আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তেহরান হস্তক্ষেপ করছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল আকবর বেলায়েতি। তিনি বলেছেন, মসুল নগরী পুনর্দখলের অভিযান চালানোর অধিকার শুধুমাত্র ইরাকি সেনাবাহিনীর রয়েছে; অন্য কোনো দেশের সেনা এতে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
দীর্ঘ প্রস্তুতির পর গত সোমবার থেকে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের হাত থেকে মসুল শহর পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু হয়েছে। ইরাকের সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি শিয়া, সুন্নি ও কুর্দি পেশমার্গা স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী অভিযানে অংশ নিচ্ছে। ২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাকি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে মসুল দখল করে নিয়েছিল দায়েশ।
বেলায়েতি বুধবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার বিশ্বের কোনো দেশের নেই। মসুলের কাছে তুর্কি সেনা মোতায়েনের প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা বলেন, “কোনো কোনো দেশ বাগদাদ সরকারের অনুমতি না নিয়েই ইরাকে সেনা মোতায়েন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
ইরাকে ইরানের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বেলায়েতি বলেন, বাগদাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশটিতে শুধুমাত্র সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে তেহরান। ইরাকে অবস্থানরত কোনো ইরানি সেনা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না বলেও তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
কোনো কোনো পশ্চিমা ও আরব গণমাধ্যম সম্প্রতি দাবি করেছিল, ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরান হস্তক্ষেপ করছে এবং দেশটিতে যুদ্ধ করার জন্য সেনা পাঠিয়েছে।